০৮:১০:২৯ সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১
নরসিংদী: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিনা দোষে ৩ বছর কারাভোগের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়ে পুরনো চাকরি ফিরে পেলেন জাহালম।বিজেএমসি চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার নরসিংদীর ঘোড়াশালের চাকরিটি ফিরে পান তিনি। মঙ্গলবার তিনি তার পুরনো কর্মস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশালের বাংলাদেশ জুটমিলে তাঁতি হিসেবে কাজ যোগদান করেছেন।
সোনালী ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারিতে দুদকের দায়ের করা ৩৩টি মামলায় সালেকের পরিবর্তে ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জাহালমকে আটক করা হয়।
দীর্ঘ তিন বছর ভুল আসামি হিসেবে জেলে থাকার পর চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
মুক্তির পর তার চাকরি ফিরে পাওয়ার আশায় সকল প্রকার কাগজপত্র নিয়ে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন জানান জাহালম।আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেএমসি চেয়ারম্যান জাহালমের সকল প্রকার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তাকে স্বপদে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেন।
এই নির্দেশনা মোতাবেক চলতি এপ্রিলের ১৬ তারিখ তিনি পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে অবস্থিত বিজেএমসির নিয়ন্ত্রাণাধীন বাংলাদেশ জুট মিলের কর্তৃপক্ষের কাছে তার কাগজপত্র পেশ করেন। কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা মোতাবেক তাকে স্বপদে বহাল করে।
দীর্ঘ তিন বছর পর চাকরি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে জাহালম সাংবাদিকদে বলেন, বিনা দোষে জীবন থেকে তিনটি বছর চলে গেছে। শুধু তাই নয়, তিন বছর কষ্টও করেছি আনেক। মানসিক অবস্থাও আগের মতো নেই। কেমন যেনো একটা ঘোর অন্ধকার দেখতে পাই। তিন বছরে আমার সংসার তছনছ হয়ে গেছে। একেবারে পথের ফকির হয়ে গেছি আমি।
জাহালম আরও জানান, আমি জেলে যাওয়ার পর সংসার চালাতে স্ত্রী কল্পনা বেগম স্থানীয় প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি নেয়। এতে যে বেতন পায় তা দিয়েই সংসার চালিয়েছে সে। মামলার খরচ চালাতে গিয়ে সর্বশান্ত হতে হয়েছে। বর্তমানে আমার সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই।