০৬:৫৮:৪১ শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩
নিউজ ডেস্ক: বিদেশি জাতের একটি গাভি লালন-পালন ও দুধ বিক্রি করে সংসার চালাতেন মারুফা আক্তার (২৫)। তিন সন্তানের ভরণ-পোষণসহ সকল কিছুই চলতো দুধ বিক্রি করে। প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের এই গাভিটি চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন তিনি পথে বসেছেন। একমাত্র সম্বল চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন তিনি হতাশাগ্রস্ত। ঢাকায় একটি বাসায় কেয়ারটেকারের চাকরি করা স্বামী বেলাল খবর পেয়ে শুধুই কান্না করছেন।
মারুফা আক্তারের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বরিল্লা গ্রামে। তার স্বামী বেলাল ঢাকায় একটি বাড়ির কেয়ারটেকার। মারুফা গ্রামের বাড়িতে বসবাস করে সংসার দেখাশোনার পাশপাশি গাভি লালন-পালন করেন। গাভির দুধ বিক্রি করে সংসারের ব্যয় নির্বাহের পাশাপাশি কিছু জমা করতেন। তাদের স্বপ্ন ছিল জমানো টাকা দিয়ে আরেকটি বাছুর কিনে ওটাকে বড় করবেন।
গতকাল বুধবার মো. বেলাল এ প্রতিবেদকের মোবাইলে ফোন করে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, স্যার, আমি একজন গরিব মানুষ। ধারদেনা করে একটি ১৬ হাজার টাকায় একটি বাছুর কিনে সেটাকে লালন পালনে করে বড় করেছেন আমার স্ত্রী ও সন্তানরা। যা বর্তমানে একটা সম্বলে পরিণত হয়েছে। চার থেকে পাঁচ কেজি দুধ দিয়ে আসছে প্রতিদিন। তা বিক্রি করে গাভিটির খরচ ছাড়াও সংসারের খরচ মিটিয়ে কিছু টাকা জমা করা যেত। কিন্তু গত ২১ এপ্রিল রাতে গ্রামের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে আমার আড়াই লাখ টাকা দামের একটি গাভি চুরি হয়ে গেছে।
বেলাল আরো জানান, লকডাউন চলার কারণে গ্রামের বাড়ি যেতে পারিনি। বাড়ি গেলে চাকরি চলে যেতে পারে এই শঙ্কায় ঢাকায় থেকে যাই। কিন্তু গ্রামের বাড়ি থেকে আমার স্বপ্ন চুরি হয়েছে। আমি এখন কী করব। গাভি চুরি হওয়ার পরদিন ২২ এপ্রিল আমার স্ত্রী মারুফা নান্দাইল মডেল থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু কোনো ধরনের ব্যবস্থা এখনো হয়নি। আমি এখন কি করব! কিভাবে চলবে আমার সংসারের খরচ!