১১:০৩:৫৫ বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১
স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তানের ক্রিকেটে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ নতুন কিছু নয়। আর এই অভিযোগে শাস্তিও পেয়েছেন অনেকেই। এই প্রসঙ্গেই এবার মুখ খুললেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা পেসার শোয়েব আখতার।
রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস সাফ জানিয়ে দিলেন, তার সময়ে কতটা গভীর ছিল এই সমস্যা। শুধু বিপক্ষ নয়, সতীর্থদের বিরুদ্ধেও খেলতে হয়েছিল তাকে, অভিযোগ শোয়েবের।
একটি টিভি টকশো'তে শোয়েব বলেন, পাকিস্তানকে কখনও প্র'তা'রণা করব না, ম্যাচ ফিক্সিং করব না, এই বিশ্বাস সব সময় আমার ছিল। কিন্তু আমার চারপাশে ঘিরে থাকত ম্যাচ ফিক্সাররা। আমাকে ২১ জনের বিরুদ্ধে খেলতে হত। ওদের ১১ জন আর আমাদের ১০ জনের বি'রু'দ্ধে নামতে হতো। কে ম্যাচ ফিক্সার, তা বোঝা যেত না। তখন খুব ম্যাচ ফিক্সিং হতো। মোহাম্মদ আসিফ তো একবার আমাকে বলেই ফেলেছিল যে, কোন ম্যাচগুলোয় ওরা ফিক্সিং করেছে আর তা কীভাবে করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ম্যাচ ফি'ক্সিংয়ের অভিযোগে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই পেসার মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। ওপেনার সালমান বাটও সেই সময় স্পট ফি'ক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ে নির্বাসিত হন পাঁচ বছরের জন্য। আমির-আসিফের ম্যাচ ফি'ক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা জেনে রেগে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন শোয়েব।
বি'ষ'ণ্ণ সুরে তিনি বলেছেন, চেষ্টা করেছিলাম আমির ও আসিফকে বুঝানোর। প্রতিভার কী অপচয়। যখন এটা শুনেছিলাম, এতো হ'তা'শ হয়ে পড়েছিলাম যে, দেওয়ালে ঘুঁ'ষি মে'রে বসেছিলাম। পাকিস্তানের দুই সেরা বোলার, যারা কি না স্মার্ট, বুদ্ধিমান এবং আদর্শ দুই পেসার, তারা এভাবে নিজেদের ন'ষ্ট করল। সামান্য অর্থের জন্য নিজেদের বিক্রি করল ওরা।
মোহাম্মদ আমির নির্বাসন কাটিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেও আসিফ ও বাট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করতে পারেননি। কয়েক মাস আগের বিশ্বকাপ ক্রিকেটেও খেলেছেন আমির। তবে বিশ্বকাপের পর জুলাইয়ে মাত্র ২৭ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন বাঁ-হাতি পেসার। সাদা বলের ক্রিকেটে ফোকাস দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান আমির। এই সিদ্ধান্তে চমকে যায় ক্রিকেট মহল।