১১:৩০:০৭ সোমবার, ০১ মার্চ ২০২১
স্পোর্টস ডেস্ক : যে সন্দেহভাজন ক্রিকেট বুকির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জের ধরে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দু'বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হলেন, সেই দীপক আগরওয়াল নামটি ভারতে আগেও আলোচনায় এসেছে।
ভারতে ক্রিকেটকে ঘিরে যে বিরাট বেআইনি জুয়া ও বেটিংয়ের চক্র চালু আছে, তার খোঁজখবর রাখেন এমন অনেকেই বলেছেন দীপক আগরওয়াল এই সার্কিটে একজন 'পরিচিত মুখ'। ভারতের বিভিন্ন সংবাদ-মাধ্যমেও তাকে বর্ণনা করা হচ্ছে একজন 'ব্ল্যাকলিস্টেড' বা কালো তালিকাভুক্ত বুকি হিসেবে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) অবশ্য এই ব্যক্তিকে শুধু একজন 'পার্সন অব ইন্টারেস্ট' বলে বর্ণনা করছে। বিসিসিআই-এর দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান অজিত সিং শেখাওয়াত তার সম্পর্কে এভাবেই কথা বলেছেন।
দীপক আগরওয়াল প্রসঙ্গে অজিত বলেন, "ইনি ব্ল্যাকলিস্টেড কি না বলতে পারব না, মিডিয়া তো অনেক ধরনের শব্দই ব্যবহার করে। তবে আমাদের ভাষায় তিনি একজন 'পার্সন অব ইন্টারেস্ট'। মানে কিছু লোকজন এই খেলাটাকে সাবভার্ট বা হেয় করার চেষ্টা করে থাকে, ইনি তাদেরই একজন।"
কর্মজীবনে রাজস্থান পুলিশের মহাপরিচালক হিসেবে অবসর নেয়া অজিত সিং বলেন "আমরা তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখার চেষ্টা করি, খেলোয়াড়রা যাতে এদের সঙ্গে না-মেশে সে ব্যাপারে সাবধান করে দেই। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা তো আর পুলিশ নই, ফলে এর চেয়ে বেশি কিছু করার থাকে না।"
'ক্রিকেট বুকি' দীপক আগরওয়ালের সম্বন্ধে খোঁজখবর করতে গিয়ে অন্তত দুটি ঘটনার খোঁজ পেয়েছে - যার দুটিতেই অভিযুক্তের নাম দীপক আগরওয়াল। প্রথম ঘটনায় ২০১১ সালে রাজস্থানের উদয়পুর শহরের ঘন্টাঘর এলাকায় বিজয় কুমার নামে এক উঠতি ক্রিকেটার ক্রিকেট বেটিং চক্রে জড়িয়ে পড়ে সর্ব'স্বা'ন্ত হয়ে আ'ত্মহ'ত্যা করেছিলেন।
নিজের সু'ইসা'ইড নোটে তিনি নিজের এই পরিণতির জন্য দায়ী করে গিয়েছিলেন দীপক আগরওয়ালকে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, দীপকই না কি তাকে ক্রিকেট জুয়ার চক্রে টেনে এনেছিলেন।
উদয়পুর শহরের পুলিশ কর্মকর্তাও তখন এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, দীপক আগরওয়ালের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ রুপি আদায় করে তার পরিবারকে দেওয়ার জন্য সুইসাইড নোটে অনুরোধ করে গেছেন নি'হ'ত ওই যুবক।
দ্বিতীয় ঘটনায় ২০১৭ সালে ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের পুলিশ ক্রিকেটের স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে রায়গড় শহরে জনৈক দীপক আগরওয়ালকে গ্রেফতার করে। সেই ঘটনায় দুই সঙ্গী সমেত দীপক আগরওয়ালকে জেলেও যেতে হয়, তবে কিছুদিনের ভেতরই তিনি ছাড়া পেয়ে যান।
তবে এই দুটি ঘটনায় জড়িত দীপক আগরওয়াল আর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ এক্সচেঞ্জে জড়িয়ে পড়া দীপক আগরওয়াল একই ব্যক্তি কি না, তা নিশ্চিতভাবে এখনও বলা যাচ্ছে না। সূত্র : বিবিসি