০৩:৫১:৫৯ বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯
স্পোর্টস ডেস্ক : টানা তিন ম্যাচ হারল কেকেআর। কিছুই যেন ঠিকঠাক হচ্ছে না নাইট শিবিরের। অথচ এবার আইপিএলের শুরুটা বেশ ভালই করেছিল নাইটরা। কিন্তু টুর্নামেন্ট যত গড়াচ্ছে ততই ছন্দ হারাচ্ছে কেকেআর।
প্রথমে চেন্নাই সুপার কিংস মানে ধোনিদের কাছে হার মানতে হয়েছিল নাইটদের। ইডেনে ফিরে এসে সৌরভের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেও একই পরিণতি হয়েছিল কেকেআরের। রোববারের ইডেনেও মুখ থুবড়ে পড়তে হল শাহরুখের দলকে।
ফলে এদিন ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের হারের প্রতিশোধ নেওয়াও হল না। নাইটদের ১৬১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই দুই বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়। সুরেশ রায়না অপরাজিত থেকে যান ৫৮ রানে।
শেষ দুই ওভারে জেতার জন্য চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ২৪ রান। গার্নির ওভারে উঠল ১৬ রান। শেষ ওভারে জেতার জন্য সিএসকের দরকার ছিল আট রান। চেন্নাই শিবির খুব সহজেই ম্যাচটা জিতে নেয়।
প্রথমে ইডেনে ব্যাটে নেমে আন্দ্রে রাসেল ঝড় ওঠেনি। তার পরিবর্তে ক্রিস লিন মারমুখী ব্যাটিং করলেন। কিন্তু উইকেট ছুড়ে দেওয়ার বদভ্যাসে বড় রান করতে পারল না কেকেআর। ২০ ওভারের শেষে নাইটরা করলো ১৬১ রান। এই রানের পুঁজি নিয়ে চেন্নাইকে থামিয়ে রাখা সম্ভব নয়।
আগের ম্যাচে দীপক চোহার নাইটদের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙেছিলেন। এ দিন প্রথম ওভার থেকেই চোহারকে আক্রমণের রাস্তা নেন লিন। তিনি ভয়ডরহীন ব্যাটিং করলেও অন্য প্রান্ত থেকে উইকেট যেতে থাকে নিয়মিত। সুনীল নারাইন (২) ব্যর্থ। নীতীশ রাণা ১৮ বলে ২১ রান করেন। রাণা ও উথাপ্পা ইমরান তাহিরের শিকার।
৩৬ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন লিন। আন্দ্রে রাসেল শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন। কিন্তু তাহিরের বলে ভুল করে ফিরতে হয় তাকে ব্যক্তিগত ১০ রানে। শার্দুল ঠাকুরের বলে ফেরেন অধিনায়ক কার্তিক। দ্রুত উইকেট পড়তে থাকলে কি বড় রান করা সম্ভব? নাইটদের রান তাড়া করতে নেমে শেন ওয়াটসনকে ৬ রানে ফেরান গার্নি। চেন্নাই শিবিরে প্রথম ধাক্কাটা তিনিই দিয়েছিলেন।
ফ্যাফ দু’ প্লেসি ২৪ রান করার পরে নারাইনের বলে বোল্ড হন। আম্বাতি রায়ুডু ব্যর্থ। কেদার যাদব (২০) ও ধোনি (১৬) ক্রিজে জমে ওঠার আগেই ফিরে যান। শেষের দিকে রায়নার সঙ্গে জুটি বাঁধেন রবীন্দ্র জাদেজা। বাঁ হাতি জাদেজা ১৭ বলে দ্রুত ৩১ রান করে চেন্নাইকে জয় এনে দেন। রায়না ৪২ বলে ৫৮ রান করেন।