০২:১৫:০২ শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আশ'ঙ্কা করা হচ্ছিল গত ক'দিন ধ'রেই। বিশে'ষজ্ঞেরা বলছিলেন, ইউরোপে মৃ'ত্যুর সংখ্যা খুব দ্রুত এশিয়াকে ছা'পিয়ে যাবে। সেটাই এ বার সত্যি হল। করো'না-সং'ক্র'মণে মৃ'ত্যুর নিরিখে আজ চীনকে পেরিয়ে গেল ইটালি। চীনে মৃ'ত্যুর মোট সংখ্যা এখন ৩,২৪৫। ইটালিতে ৩,৪০৫। গোটা দেশ এখনও তা'লাব'ন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার।
স্কুল ব'ন্ধ থাকবে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত। ২৫ মার্চ পর্যন্ত ইটালিতে যে বি'ধিনিষে'ধ আ'রো'প করা হয়েছিল, তার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। গোটা বিশ্বে মৃ'তের সংখ্যা ৯,৮২৮। আ'ক্রা'ন্ত ২,৩৬,৭০৩। তবে সেরে উঠেছেন কমপক্ষে ৮৬,৬৭৬ জন। ব্রেক্সিট-মধ্যস্থ মিশেল বার্নিয়ে-ও আ'ক্রা'ন্ত কোভিড-১৯-এ। সং'ক্র'মণের খবর আজ নিজেই জানিয়েছেন তিনি। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে আজ একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন বার্নিয়ে।
যেখানে দেখা গিয়েছে, বই ভর্তি একটি তাকের সামনে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন ফরাসি বিদেশমন্ত্রী। পরনে সোয়েটার। ৬৯ বছরের ইইউ কর্তা বলেছেন, ''গত কাল জানতে পেরেছি যে, আমিও করোনা ভাইরাসে আ'ক্রা'ন্ত। নিজেকে পুরোপুরি ঘরব'ন্দি করে ফেলেছি। আমি ঠিক আছি। আমি আর আমার দলের সকলেই যাবতীয় নির্দে'শি'কা মেনে চলছি।'' আ'ক্রা'ন্ত হয়েছেন মোনাকোর রাজা দ্বিতীয় অ্যালবার্টও।
ইরানের পরি'স্থি'তি উন্নতির কোনও ল'ক্ষণ আপাতত নেই। আজই ১৪৯ জনের মৃ'ত্যুর খবর মিলেছে নতুন করে। দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ই জানাচ্ছে, প্রতি দশ মিনিটে সেখানে এক জন নাগরিকের মৃ'ত্যু হচ্ছে। মৃ'তের সংখ্যা ১,২৮৪। আ'ক্রা'ন্ত ১৮ হাজারেরও বেশি। ভারত জানিয়েছে, ইরানে মৃ'তদের মধ্যে এক জন ভারতীয় রয়েছেন। গত কালও ২০১ জন ভারতীয়কে ইরান থেকে ভারতে ফেরানো হয়েছে। তবে সেখানে এখনও কিছু ছাত্রছাত্রী ও পুণ্যার্থী রয়েছেন বলে ভারতের বিদেশ দপ্তর জানিয়েছে।
ইউরোপের পরি'স্থিতিও যথে'ষ্ট উদ্বে'গজনক। ইটালি, স্পেন, জার্মানি আর ফ্রান্সের সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটেনেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা। করো'না ভাই'রাসের আ'ক্রমণে ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই মা'রা গিয়েছেন শতাধিক মানুষ। সবচেয়ে খা'রাপ অবস্থা লন্ডনের। এখানে স্কুল ব'ন্ধ হলেও বরিস জনসনের সরকার এখনও গোটা শহর পুরোপুরি তালাব'ন্দি করার পথে হাঁটেনি। তবে শহর জুড়ে টিউব পরিষে'বায় রাশ টানা হচ্ছে। কমপক্ষে ৪০টি টিউব স্টেশন ব'ন্ধ রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।
বিশেষ করে আন্ডারগ্রাউন্ড টিউবের সংখ্যা কমানো হচ্ছে। কমছে বাসের সংখ্যাও। খুব প্রয়োজন ছাড়া লন্ডনবাসীকে বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করেছেন শহরের মেয়র সাদিক খান। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কাল এক বার্তায় আরও ক'ঠো'র পদক্ষেপ করা হতে পারে সেই ই'ঙ্গি'ত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ''আমি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে প্রয়োজনে নিজেকে ঘরব'ন্দি করার ক্ষেত্রে সং'শয় থাকার কথা নয়।'' কাফে, পাব, রেস্তোরাঁ কী ভাবে ব'ন্ধ করা যায়, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা।
ইটালির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মৃ'ত্যু বাড়ছে স্পেনে। ২৪ ঘণ্টায় মৃ'ত্যুর হার ৩০ শতাংশ বেড়েছে। মৃ'তের সংখ্যা ৭৬৭। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র মাদ্রিদ শহরেই প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৮ জন সং'ক্র'মিত। করো'না ভাই'রাসে আ'ক্রা'ন্ত ১৭,১৪৭ জন। জার্মানিতেও হু হু করে বাড়ছে সং'ক্র'মণ। ইতিমধ্যেই আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা ১১ হাজারে পৌঁছেছে। গত এক দিনেই ২,৮০০ মানুষ নতুন করে সং'ক্র'মিত হয়েছেন। মৃ'তের সংখ্যা সেখানে এখনও পর্যন্ত ২০।
তবে খুব শীঘ্রই সেখানে মৃ'ত্যু বাড়বে বলে আ'শ'ঙ্কা করা হচ্ছে। ছোট ছোট শহরগুলিকে ইতিমধ্যেই তা'লাব'ন্দি করা হয়েছে। বড় শহরগুলিও সেই পথে হাঁটবে বলে ই'ঙ্গি'ত দেওয়া হয়েছে। বার্লিনের মেয়র মাইকেল মুলার আজই বলেছেন, ''শহর তা'লাব'ন্ধ করে দেওয়ায় সত্যিই কাজ হতে পারে। তাই আগামী কয়েক দিনে তেমনটা যে করা হবে না, তা এখনই বলতে পারছি না। সবার আগে পার্কগুলি ব'ন্ধ করা হবে।''
গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকায় করোনায় আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে ৪০ শতাংশ। মার্কিন বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র প্রবীণেরাই নন, কমবয়সিদেরও কাবু করছে এই ভাইরাস। মে মাসে নির্ধারিত কান চলচ্চিত্র উৎসব হবে না বলে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে। হতে পারে জুনের শেষে। একই ভাবে এশিয়ার বিভিন্ন দেশেই নতুন করে সং'ক্র'মণের আ'শ'ঙ্কা দেখা যাচ্ছে।
হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীনের মতো দেশে সং'ক্র'মণ অনেকটা কাবু হলেও বিদেশ ফেরত নাগরিকদের মাধ্যমে ওই সব দেশে নতুন করে আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা বাড়ছে। ইউরোপের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব'ন্ধ। এই অবস্থায় সেখানকার পড়ুয়ারা দেশে ফিরছেন, যাদের মধ্যে অনেকের শরীরেই দেখা যাচ্ছে করো'নার ল'ক্ষণ। যা দেখে উ'দ্বি'গ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।
পাকিস্তানেও আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা সাড়ে চারশোর কাছাকাছি। সং'ক্র'মণ পরীক্ষা না করে যদি ছড়িয়ে পড়ে, তা হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃ'ত্যু হবে বলে আজ আ'শ'ঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। তার হুঁ'শিয়া'রি, ঠিক মতো পরীক্ষা না-করলে বিশেষ করে গরিব দেশগুলি এর ফলে বি'প'দে পড়বে।