০৩:০৯:০৯ শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
চট্টগ্রাম থেকে : ঘুর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ৬নং বিপদ সংকেত ঘোষণার পর চট্টগ্রাম বন্দরে নিজস্ব অ্যালার্ট থ্রি জারীর মাধ্যমে সব ধরণের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে সকালে।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর, জেলা প্রশাসন, মেট্টোপলিটন পুলিশ ও সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে। এরমধ্যে নির্বিঘ্নে চালু রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সবধরণের বিমান ওঠানামা।
বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা অথবা ফণীর আঘাত শুরু না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এ জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।
প্রস্তুতির মধ্যে বিমানবন্দরের বেতে (টার্মিানাল) থাকা সকল যন্ত্রপাতি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। স্পর্শকাতর স্থাপনাগুলো মজবুত প্রতিরোধ ব্যবস্থায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
একইভাবে বিমানবন্দর সংলগ্ন সার্জেন্ট জহুরুল হক ঘাটি থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারগুলো ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে এমন তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান।
ফণীর প্রভাবে চট্টগ্রামে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা থেকে এমন প্রস্তুতি নেয়ার কারণ বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বে (উড়োহাজাহাজ পার্কিং) এলাকায় থাকা লেডার, ট্রলি, বিমানে ওঠানামার সিড়ি, বাগি কারসগ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও যানবাহন নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া টার্মিনাল ভবনের নিচতলার জরুরি সরজ্ঞামগুলো উপর তলায় স্থান্তান্তর করা হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি হিসেবে বিমানবন্দর সংলগ্ন সার্জেন্ট জহুরুল হক ঘাটি থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারগুলো ঢাকার তেজগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু ঘাটিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সারওয়ার-ই-জামান বলেন, ক্যাটাগরি ফাইভ ঘূর্ণিঝড় শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। বলা হচ্ছে, গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে ফণী। নদীগুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৫ ফুট উপর দিয়ে বইছে।
এর মধ্যেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে আরেক আতঙ্কের কথা। ঘূর্ণিঝড় ফণী উপকূল অতিক্রম করার সময় বাংলাদেশের উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।